কাগজ প্রতিবেদক
ময়মনসিংহে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে পালিয়ে গেছেন রেলওয়ের উচ্ছেদকারি কর্মকর্তারা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশন সংলগ্ন উচ্ছেদ অভিযানকালে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, পূর্বঘোষণা অনুযাযী সোমবার দুপুর ১১টা থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন এলাকা এবং রেলওয়ের আশেপাশে থাকা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার ঘোষনা দেয় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এজন্য ঢাকা বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তারা ময়মনসিংহে আসে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে রেলওয়ে পুলিশ পাহাড়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর জন্য যান। তারা প্রথমেই রেলওয়ে মসজিদ সংলগ্ন দোকানগুলোতে ভেকু দিয়ে ভাঙ্গা শুরু করেন। যদিও ঐ স্থানটি এর আগের উচ্ছেদ অভিযানের সময় ভাঙ্গা ছিল এবং সেখানে কোনো দখলদারও ছিল না। এসময় মসজিদের ক্ষতি হতে পারে বলে ভাঙ্গতে নিষেধ করেন মসজিদের পেশ ইমাম রফিকুল আলমসহ মুসল্লিরা। এতে বিক্ষুদ্ব হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং জনতার ধাওয়ায় উচ্ছেদকারি কর্মকর্তারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে স্টেশন চত্ত্বর এলাকায় উত্তজনা চলতে থাকে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এসে আশ্বস্থ করেন, মসজিদে আর কোন উচ্ছেদ অভিযান হবে না। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে
এ ব্যাপারে রেলস্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম রফিকুল আলম জানান, প্রভাবশালীদের উচ্ছেদ না করে কর্মকর্তা শুরুতেই মসজিদ ভাঙ্গতে এসেছেন। এ কারনে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এদিকে এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য রেলওয়ে বিভাগের কাউকেই ফোনে পাওয়া যায়নি।
উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মসজিদের পাশের দোকানগুলো উচ্ছেদের চেষ্টা করা হলে স্থানীয়দের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এসময় কিছু উগ্র যুবক ইটপাটকেল ছুঁড়ে ও এক্সক্যাভেটর মেশিন ভাংচুর করে এবং এর চালককে ব্যাপক মারধর করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের উপরও ঢিল ছুড়ে। এসময় তিন জন আরএনবি সদস্য আহত হন। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আজকের মত অভিযান শেষ হলেও আগামীতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয়দের সাথে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনার কথা জানান তিনি।