কাগজ প্রতিবেদক
ময়মনসিংহে শারদীয় দূর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীতে উৎসবমূখর পরিবেশে কুমারি পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে দেবীর মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গা পুজিত হন ভক্তদের কাছে। তাইতো শঙ্খ, উলুধ্বনি, কাঁসর ঘণ্টা ও ঢাকের তালে মেতে উঠেছেন ভক্তরা।
এদিকে শুক্রবার সকালে নগরীর রামকৃষ্ণ মিশনে দেবী দূর্গার কুমারী রূপে সাত বছর বয়সী সম্প্রীতি শারদীয়া রায়কে মালিনী রূপে সাজিয়ে অঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে কুমারি পূঁজা সম্পন্ন হয়। কুমারী বালিকার মধ্যে বিশুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করবেন ভক্তরা। সে নগরীর হলি সোল কিন্ডার গার্টেনের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। সম্প্রীতির বাবার নাম সুরঞ্জিত রায় সৈকত এবং মায়ের নাম রূপা রানী সাহা। কুমারী পুজায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত ও পূঁজারিরা অংশগ্রহন করেন।
নির্বাচিত কুমারীকে মহাষ্টমীর দিন ভোরে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। তাকে সাজিয়ে কপালে সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল দেওয়া হয়। কুমারীকে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোলটি উপাদানে দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। এ সময় চারদিকে শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বোল, উলুধ্বনি আর দেবী স্তুতিতে মুখর হয়ে ওঠে।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা ব্রাহ্মণ বা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কুমারী নারীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর রূপ বেশি প্রকাশ পায় এবং মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য।
এছাড়া নগরীর দূর্গাবাড়ি মন্দির, দশভূজা মন্দির, বড় কালীবাড়ী মন্দির, লোকনাথ আশ্রম ও মন্দির, বিশ্বনাথ মন্দির, আমলাপাড়া মন্দির, আঠারোবাড়ি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্সসহ প্রতিটি মন্দিরে উৎসবমুখর পরিবেশে চলে মহাঅষ্টমীর পুজার্চনা। মন্ডপে-মন্ডপে ভক্ত ও পূঁজারিরা ভীড় জমান মহাঅষ্টমীতে অঞ্জলী নিতে। পূঁজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রতিটি মন্ডপে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। অশুভের বিনাশ ঘটিয়ে পৃথিবীতে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা হবে এবং শান্তি বিরাজ করবে সর্বত্রই এই কামনা করেন পুজারীরা।