কাগজ প্রতিবেদক
ময়মনসিংহে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্নদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী সার্ভেয়াররা। মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। ‘বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। সরকার দাবি মেনে নিলেই কাজে ফিরবেন তাঁরা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারিরা।
আন্দোলনকারিরা বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী চার বৎসর মেয়াদি সকল ডিপ্লোমা-ইন-ইজিনিয়ারিং পাশকৃতদের চাকরি দক্ষতার শ্রেণীকরণে মধ্যম সারির ব্যবস্থাপক, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সমত্ৃল্য বলা হলেও সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। যা কারিগরি শিক্ষার অবমূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে চরম বৈষমামূলক আচরণ।
তারা বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সান্নিধ্যে থেকে বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়তে থাকলেও সার্ভেয়িং টেকনোলজির ডিপ্লোমাধারীগণের ব্যাপারে সরকারের উদাসিনতা অত্যন্ত দুঃখজনক। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকল দপ্তরের সার্ভেয়ারগণ দীর্ঘদিন ধরে অসামঞ্জস্য বেতন স্কেলে বেতনভুক্ত হওয়ায় মারাত্বকভাবে মানসিক চাপে রয়েছে। যার প্রভাবে শতভাগ কর্মের প্রতি মনোযোগ আনায়নে বাধাগ্রস্ত ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার আবেদন করা স্বত্বেও অজানা কারনে আমাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত করে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত ও দশম গ্রেডে বেতন স্কেল দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ফিরোজ হোসেন, ভুমি অধিগ্রহণ শাখার মতিউর রহমান, ভালুকা ভুমি অফিসের সেলিম হাসান, ফুলবাড়িয়ার হুমায়ূন কবীর খান, ধোবাউড়ার হাদিউল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলার সার্ভেয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন। গত ১ অক্টোবর থেকে অবস্থান ও অর্ধদিবস ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাঁরা।