1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 15, 2025, 7:49 am
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা আইনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

বিশ্ব শিক্ষক দিবস । বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায়পড়াশোনা বিমূখ হয়েছে শিক্ষার্থীরা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৪,
  • 55 Time View

দেলোয়ার হোসেন
বিশ্বশিক্ষক দিবস। দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে। ময়মনসিংহ পেয়েছে শিক্ষা নগরীর মর্যাদা। কিন্তু গত দুই দশকে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। অনেকের মতো ২০০০ সালের আগের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছিলো প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠার পাঠ, আর বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন সমাজের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আগে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে হতো না, শিক্ষকদের পেশা ছিলো আদর্শ। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষাকে ব্যবসা বানিয়ে টাকা কামানোর ধান্দায় নেমেছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষাকে ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হওয়ায় শিক্ষকেরাও মর্যাদা পাননা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা জানায়-ভালো ছিলো আগেই, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশোনা বিমূখ হয়েছে শিক্ষার্থীরা।
২০০০ সালের আগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে যেমন ছিলো শিক্ষা ব্যবস্থা:
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা ও প্রধান শিক্ষিকা মতিঝিল গভমেন্ট গার্লস হাই স্কুল,ঢাকা নার্গিস আরা বেগম বলেন, আমরা একটা রিসেন্ট প্য্যান এর মাধ্যমে ট্রেণিং দিয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করেছি। পাঠদান করেছি। সে সময়ে উপকরণ থাকতো পাঠপুস্তক, ব্ল্যাকবোর্ড, চক, ডাস্টার এবং আনুষঙ্গিক অনেক কিছু। তখন ছাত্রীদের প্রথমত পড়াটা বুঝিয়ে দিতাম ক্লাসে বা শ্রেণীকক্ষে। তারপর তাদের কাছ থেকে প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতাম তারা সম্পূর্ণ পড়াটা বুঝতে পেড়েছে কিনা। তারা প্রশ্নের উত্তরটা দিতো এবং সেভাবেই ক্লাসে ৪০ মিনিট সময় ব্যয় হয়ে যেত। তখন সাবজেক্টগুলো ছিল সে ১০টা সাবজেক্ট শেস করে অংক, বাংলা, ইংরেজি, সমাজ বিজ্ঞান, ভুগোল, ইতিহাস, ধর্ম পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেরাধুলা, সাংস্কৃতিক ক্লাস, চিত্রাংকন রুটিনে থাকতো। মেয়েদের সেলাই, গাহস্থ বিজ্ঞান সংযোজিত হতো।
সেসময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। পড়াশোনার মানও ভালো ছিল। প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষর্থীরা প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতো। সেখানে যারা মেধাবী এবং আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের করতে দেয়া হতো। বৃত্তি পরীক্ষাগুলো এজন্যই ছিল যারা অসচ্ছল পরিবারে যাতে কিছু স্বচ্ছলতা আসে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আসে আর ভালোভাবে যেন তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। আর এসএসসি পরীক্ষায় ৯২ সালের আগ পর্যন্ত যা ছিল ১০০ নাম্বারের মধ্যে রচনামূলক প্রশ্নগলো থাকতো। পরীক্ষার পর তাদের মূল্যায়ন করা হতো। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে উন্নীত করা হতো। যারা বিষয়গুলোতে ৮০ নম্বর বার তারউর্দ্ধে পেয়ে যেতো তাদেরকে লেটার মার্ক দেয়া হতো।
৯২’ এর পর থেকে নৈবেত্তিক প্রশ্ন শুরু হলো। ছোট ছোট প্রশ্নে ৫০ নম্বরের উত্তর।এখন দেশে শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রতি বছর কিছু না কিছু পরিবর্তন হয়ে আসছে। যেমন এই নৈবেত্তিক প্রশ্ন সংযোজিত হলো। কম্পিউটার ব্যবহার সংযোজিত হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কম্পিউটার ব্যবহার প্রচলিত হয়েছে এর মাধ্যমে তারা পড়াশোনা করছে। যাই হোকে সিলেবাস পরিবর্তন হয়েছে। যুগোপযোগী উপকরণ পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি সবি শিক্ষার মানন্নোয়নের জন্য এবং কিছুটা একঘেয়েমী কাটানোর জন্য এসমস্ত পরিবর্তনগুলো এসেছে। আমরা সবগুলোকেই সাধুবাদ জানাই এই সমস্ত পরিবর্তনের জন্য। এই উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষকদের যথেষ্ট সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। আমরা বরাবরই করে এসেছি। এখনকার শিক্ষকরাও সেরকমই মানসম্পন্ন শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ তৈরী করতে যথেষ্ট চেষ্টা করে থাকেন। আমরা চাইবো সিলেবাস স্বল্প না হয়ে কিছুটা বিস্তারিত হয়। যেমন প্রয়োজনীয় শিক্ষাটা প্রদান করতে পারে। আমরা যদি বিস্তারিত শিক্ষা গ্রহণ করে থাকি ছেলেমেয়েরা তাদের পক্ষে জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হতে পারে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে অবশ্যই একটা সুসম্পর্ক থাকতে হবে। তাতে করে শিক্ষা গ্রহন এবং প্রদান করা দুটোই সহজ হবে।
হাজী উসমান আলী উচ্চ বিদ্যালয় সাবেক প্রধান শিক্ষক খন্দকার সুলতান আহমদ বলেন, আগে শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই ভালো ছিল। এবং ছেলে-মেয়েরা মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতো। শিক্ষকরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভাবে পালন করতো। এখন তো হয়ে গেছে অন্য সিস্টেম। শুধু প্রাইভেট প্রাইভেট সিস্টেমে চলছে। শিক্ষকরাও ঠিকমতো ক্লাস নিচ্ছে না। তাদের মনোযোগ হচ্ছে প্রাইভেট কোচিং এর দিকে। এখন যে পদ্ধতি চলছে শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে না, এখনতো আর আগের মতো চলছে না। তখনকার আমলে আমরা ছাত্রদের যেভাবে পড়াতাম এখন তা হচ্ছে না। তখনকার আমলে আমাদের শিক্ষকদের মান সম্মান অনেক মর্যাদা ছিল। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের মর্যাদা দিত সম্মান করতো। লেখাপড়াতেও অনেক মনোযোগী ছিলেন। বর্তমান স্কুলে শেখানোর চেয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে শেখানোতে বেশি উৎসাহী হওয়ার জন্য এবং ক্ষেত্র বিশেষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করায় সমাজে এখন শিক্ষকদের মর্যাদা তলানিতে।
নাসিরাবাদ কলেজের ছাত্র হামিদুল হক বলেন, আমাদের সময়ে স্যারেরা ক্লাসে প্রবেশ করা মাত্রই হট্টগোলের ক্লাসরুমে নিমেষেই নেমে আসত পিনপতন নীরবতা। না, স্যারের রক্তচক্ষু শাসনে নয়। স্যারদের ব্যক্তিত্বের আলোকচ্ছটায় ক্লাস আলোকিত হতো আর জ্ঞানের বিচ্ছুরণ ঘটত। যা আমরা তৃষ্ণার্ত ছাত্ররা পিনপতন নীরবতায় এর কিঞ্চিৎ পান করার চেষ্টা করতাম। এমন কঠিন বিষয় এত সহজ আর সাবলীল ভাষায় স্যারেরা পড়াতেন যে, আমরা সকলেই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম। ক্লাস শেষ হয়ে গেলেও এর রস থেকে যেত পরবর্তী ক্লাস পর্যন্ত। আর পাস করে চলে এলেও দুই যুগ পরেও আজও সেই স্বাদ লেগে আছে ঠিক নতুনের মতোই।
আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র আব্দুস সাত্তা বলেন,শিক্ষাকে প্রগতিশীল ও সর্বজনীন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ, উচ্চারণে ভুল সংশোধন এবং এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। কখনও প্রান্তিক যোগ্যতার ভিত্তিতে বর্ণ ক্রম শিক্ষা ব্যবস্থা আবার কখনো বাক্য। এমনকি শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি বাক্য ক্রমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়। এ ব্যবস্থায় প্রথমে শিক্ষার্থী বাক্যটি শিখছে। পরে শব্দ এবং সর্বশেষ বর্ণ সনাক্ত করতে পারবে। এরই ধারাবাহিকতা শিক্ষার্থী বর্ণনা ক্রমিক পদ্ধতিতে শিক্ষার অবশিষ্ট লক্ষ শ্রেণী বিত্তিক প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করবে। বাংলা সাহিত্য গুলো গদ্য ও পদ্যে সুচারু ভাবে সাজানো হতো যা নাকি শিক্ষার্থীরা সহজে রক্ত করতে সক্ষম হতো। ইতিহাস ঐতিহ্য প্রভৃতির সমন্বয়ে পাঠ্য পুস্তক রচিত হতো। যা নাকি শিক্ষার্থীর জন্য আনন্দপদ হত। তারপর আবার বহুমুখী শিক্ষা পদ্ধতি চালু হয়। ইহা হলো শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেক ধরনের বুদ্ধি বৃত্তি থাকে আর যে শিক্ষার্থী যে বুদ্ধি ভিত্তিতে পারদর্শী সে সেই বুদ্ধি বৃত্তির মাধ্যমে সৃজনশীল পদ্মতিতে শিখে অভিষ্ঠ লক্ষ প্রান্তিক যোগ্যতা গুলু অর্জন করে থাকবে। পাঠ্য পুস্তক গুলোও বয়স মেদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রণীত হতো।
বর্তমান সময়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চোখে শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন:
সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনের বর্তমান প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন,২০০০ সালের পর শিক্ষাক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ উভয় সরকারের আমলেই এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এদের মধ্যে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা দেশে মোটামুটি দেড় দশকের মত দেশে বিদ্যমান ছিল। সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থাটি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সুধিমহলে মোটামুটি প্রশংসা অর্জন করলেও এই শিক্ষাব্যস্থার বেশ কিছু ত্রুটি ছিল যা শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অনেকের চোখে ধরা পড়েছে। সদ্য বিদায়ী সরকারের সবচেয়ে আলোচিত সিদ্ধান্ত ছিল সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে ‘অভিজ্ঞতা ভিত্তিক’ শিক্ষাক্রম চালু করা। শুরু থেকেই এই শিক্ষাক্রম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা দেখা গেলেও এই শিক্ষাক্রমের বেশ কিছু ভালো ও ইতিবাচক দিক ছিল। তবে, অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রমের সবচেয়ে বিতর্কিত অংশ ছিল এর মূল্যায়ন পদ্ধতি। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এই শিক্ষাক্রমকে স্থগিত করেছে। ইতিমধ্যে কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের একটা কমিটি গঠন করে তা আবার ইসলামপন্থীদের দাবীর মুখে বাতিল করে দিয়েছে। আগামী নতুন শিক্ষাবর্ষে আমাদের শিক্ষাক্রম কেমন হবে তা নিয়ে একধরনের অস্পষ্টতা রয়েছে।
মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষকএ. কে. এম জহিরুল হক বলনে,আমরা মানবজাতি একটি সামাজিক জীব।পৃথিবীর অন্য জীবের সাথে মানবের পার্থক্য আছে। মানবজাতি ছাড়া সকল জীবই জন্মের পর সে স্বভাবলব্ধ স্বাবলম্বী হয়ে উঠে। তাকে কেউ শেখাতে হয় না। বানর শাবক বানরই হয়। কিন্তু মানব শিশুকে মানুষ করতে হয়। তাকে শিখিয়ে পড়িয়ে মানুষ করতে হয়। তাকে সামাজিক রীতিনীতি, আইন কানুন, ভালো মন্দের পার্থক্য থেকে শুরু করে তাকে আত্মার জীবসত্তাকে মানব সত্তায় রুপান্তরিত করতে হয়। আর এগুলো করতে প্রয়োজন হয় একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল, সময়োপযোগী, পরিবেশ বান্ধব শিক্ষা ব্যাবস্থা। এখানে বিন্দুমাত্র ত্রুটির কারনে ব্যর্থ হতে পারে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। শিক্ষার এ মহান কাজটি সম্পাদন করেন এক কালের শিক্ষাগুরু যা বর্তমানে শিক্ষকগণ। আর শিক্ষকগণ শিক্ষা দেন একটি সুনির্দিষ্ট শিক্ষা কাঠামো ও শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা কারিকুলাম আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভালো চাকরি পাওয়ার প্রতিযোগী তৈরি করার জন্য তৈরি করা, যা শিক্ষা খাতকে ব্যাবসায় রুপান্তরিত করছে। এতে নৈতিকতা হারাচ্ছে শিশু থেকে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। এতে প্রকৃত ‘মানুষ’ হওয়ার শিক্ষা পাচ্ছে না। এতে করে সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়, হিংস্রতা, অরাজকতা, হানাহানি, তৈরি হচ্ছে মানুষরুপী পশু। তার জন্য আমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ী করছি। শিক্ষার মত একটি জটিল ও কঠিন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত শিক্ষকদেরকে সমাজের দলিত,অবহেলিত, মর্যাদাহীন রেখে বাস্তবায়ন করা যাবে না। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে শিক্ষকদের মর্যাদা আমাদের দেশের চাইতে উন্নত, উন্নত জীবন মান। তাই স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে।
ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজের শিক্ষার্থী গকুল সূত্রধর মানিক বলেন,সম্প্রতিক সময়ে যে শিক্ষা করিকুলাম চালু রয়েছে সেই শিক্ষা কারিকুলাম সম্পর্কে আমার মনে হয় এই কারিকুলামটা এক দিক থেকে ভালো জাইগা ছিলো। এই শিক্ষা কারিকুলামকে বাস্তবায়ন করার জন্য যে ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতি প্রয়োজন ছিল, শিক্ষকদের যে ধরনের প্রশিক্ষণ, ক্যাম্পাসে যে ধরনের পরিবেশের দরকার ছিল আমাদের কোনো টাইছিল না। আমাদের ল্যাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক বিষয় গুলিরপ্রয়োজন ছিল। এই শিক্ষা কারিকুলামে মূলত শিক্ষার্থীদের মুখ থুবড়ে পড়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিমূখ করায় মূলে এই কারিকুলাম। এরকম একটি কারিকুলাম তৈরি করার আগে এই কারিকুলাম টিকে বাস্তবায়ন করার জন্য পদক্ষেপ দরকার ছিলো। যত ধরনের আয়োজন আছে সব ধরনের আয়োজন সম্পূর্ণ করে সেই পরিবেশটা নিশ্চিত করে এরকম একটা কারিকুলাম তৈরি করা উচিত ছিল। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় আগানো উচিত। না হলে শিক্ষার্থীরা গিনিপিগে পরিণত হবে।
ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন,শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান গুণগত মানুষ গড়ার কারিগর সকল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি। আমাদের প্রয়াত সকল শিক্ষকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সকল শিক্ষকই জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন একজন শিক্ষক তিনি সবসময় চান যেন তিনার সকল শিক্ষার্থী সমানভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়া কেউ কেউ নিজেদের ব্যক্তিত্বকে ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছেনা। অবশ্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা বিভিন্ন শিক্ষকদের প্রতি অশুভন আচরণ করা হচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। ২০১২ সাল থেকে সৃজনশীল পদ্ধতি প্রণয়ন করেন।যা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর সহায়ক হিসেবে কাজ করে।ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলয় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে।আমি মনে করি বর্তমান সরকার ২০১২ সালের শিক্ষা কারিকুলামে ফিরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার সাথে গড়ে তুলার পথ সুগম করেছে। ##

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024