কাগজ প্রতিবেদক
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা তাদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা, গাজীপুর, মাওনা ও নারায়ণগঞ্জে আহত হয়ে ময়মননিসংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছাত্র-দিনমজুরসহ প্রায় ২০ জন। এদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, আবার অনেকেই কাজ করার সক্ষমতা হারিয়েছেন, কারো শরীরে এখনো বুলেট বিদ্যমান। হাসপাতালে সরকারিভাবে চিকিৎসাসহ সার্বিক সুবিধা পেলেও আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে পারছেন না। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাসপাতালে তাদের পরিচর্যাকারি ও পরিবারের সদস্যরা। তাই সরকারসহ বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আল নূর মোহাম্মদ আয়াশ, আহত আমিনুল হক ও মামুনুর রশীদ। এসময় আহত রাকিব হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, সাগর, তোফাজ্জল, মেহরাব হোসেন, রবিউল, শামীম, রাকিব মিয়া, রিয়াদ, মাজহারুল, মনিরুল, বিপুল, নাজমুল, মেহেদী হাসান হৃদয়, সোহেল ও আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আহতদের বাড়ী ময়মনসিংহ, গাজীপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকায়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার মামুনুর রহমান জানান, সে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মাদ্রাসার মুতামিম ছিলেন। গত ২০ জুলাই আন্দোলনে সে গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে সে সুচিকিৎসা পাচ্ছে। কিন্তু সে তার ৭ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় পরিবার মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। তার পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে সাহায্য দাবি করেন।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা এলাকার রবিউল ইসলাম জানান, তিনি গাজিপুরের শ্রীপুরে অটোরিক্সা চালাতেন। গত ১৯ জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে সে এখন অক্ষম। তার উপার্জনেই পরিবারের ৫ সদস্য চলতো। সরকারের সাহায্য পেলে পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হবে বলে সে জানায়।