কাগজ প্রতিবেদক, বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন আর রশিদ এর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত এক মালয়েশিয়ান নারী শিক্ষার্থী এ বিষয়ে (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. হারুন আররশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালি দলের বর্তমান সভাপতি। ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশেরও ডাক দিয়েছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব আলমকে সভাপতি এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন ড. মনির হোসেন, ড. মিনারা খাতুন এবং ড. আবদুল্লাহ ইকবাল। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উপাচার্যের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে অধ্যাপক ড. মো. হারুন আর রশিদের বাসার উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন। ওই শিক্ষক তাঁর বাসায় জোর করে প্রবেশ করে যৌন নির্যাতন করেন।এছাড়াও, তিনি প্রয়োজন ছাড়াই মেসেজ পাঠিয়েছেন এবং রাতে অস্বাভাবিক সময়ে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেওয়ার কথা বললে তিনি ভয়ভীতি দেখান।
তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম বলেন, এ বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করব।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে আমার আপাতত কিছুই বলার নেই।
এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি করেছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।