কাগজ প্রতিবেদক, মুক্তাগাছা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় স্থানীয় এমএন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা শহরের নন্দীবাড়ী এলাকায় প্রমি ক্লিনিকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-শহরের নন্দীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা এমএন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম (৫৫), রেদওয়ান (২৬), রোম্মান (৩০) ও ওমর ফারুক (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, এমএন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম, রেদওয়ান, রোম্মান ও ওমর ফারুক তাদের পুরাতন বাড়ীর মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শহরের নন্দীবাড়ী এলাকায় প্রমি ক্লিনিকের সামনে আসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎ পেতে থাকা হারুন (৫০), ইসমাইল (৩০), নয়ন (৩০), সাদ (২২) নাঈম (৩০), নিরবসহ (২২) অজ্ঞাত ৮/১০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দা, কোড়াল, শাবল, লাঠি-শোঠা নিয়ে চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে শাবল দিয়ে শামীমের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এসময় রেদওয়ান, রোম্মান ও ওমর ফারুক শামীমকে ফেরাতে আসলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর আঘাত করলে তারাও গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রেদওয়ানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং বাকিরা মুক্তাগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য ইতিপূবে হারুনগংদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ আদালতে গত জুন/জুলাই মাসে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না।
এব্যাপারে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রাহুল চক্রবর্তী সাথে জানান, আহতদের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথায় ৪/৫টি করে সেলাই দেয়া হয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফারুক আহমেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।