1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 17, 2025, 9:22 pm
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা ইউনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

স্থলভাগে ঢুকলো আমফানের মুখ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, মে ২০, ২০২০,
  • 170 Time View

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আমফান স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে বলে জানালো কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঝড় প্রথম আছড়ে পড়েছে।

তবে তার বক্তব্য, ঝড়ের তাণ্ডব ক্রমশ বাড়বে। আড়াইটের সময় ঝড়ের মুখ কেবল স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। কিন্তু ঝড়ের কেন্দ্র বা চোখ স্থলভাগে আরও কয়েক ঘণ্টা পরে পৌঁছবে। সব মিলিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলবে আমফানের তাণ্ডব।

দিঘায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর আড়াইটের পর থেকে ঝড়ের তীব্রতা অনেকটা বেড়েছে। এই মুহূর্তে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে সেখানে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনো কোনো এলাকায় ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কলকাতায় এই মুহূর্তে হাওয়ার গতিবেগ প্রায় ৭০ কিলামিটার প্রতি ঘণ্টা।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, স্থলভাগে প্রবেশ করে পূর্ব কলকাতার উপর দিয়ে এই ঝড় আরও পূর্ব দিকে বয়ে যাবে। ১৭৩৭ সালের পরে এই প্রথম সরাসরি কোনও ঝড় কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে যাবে। আয়লার সময়েও ঝড়ের তাণ্ডব দেখেছিল কলকাতা। কিন্তু সে বারেও ঝড় সরাসরি কলকাতার উপর দিয়ে যায়নি। বলা হয় ঝড়ের লেজ ছুঁয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহরকে।

বুধবার সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্র অশান্ত ছিল। গার্ডওয়াল টপকে সমুদ্রের জল রাস্তায় চলে এসেছে। দিঘা, মন্দারমণি থেকে শুরু করে উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস চলছে সকাল থেকেই। ক্রমশ তা বাড়ছে। কাকদ্বীপে ঝড় এতটাই প্রবল হয়েছে যে অ্যাসবেস্টাসের ছাদ উড়ে যাচ্ছে। কলকাতায় একটি বাড়ির বারান্দা ভেঙে পড়েছে। একবার দিঘা ও সুন্দরবনের ওপর আছড়ে পড়ার পরেই যে আমফান থেমে যাবে তা মনে করার কারণ নেই। তার প্রভাব ১২ ঘণ্টা ধরে চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হলদিয়ায় হলদি নদীতে পানি প্রায় পাঁচ মিটার বেড়ে গিয়েছে। নদীতে ঢেউ উঠছে। নদীর ধারে যে বসার জায়গাগুলি ছিলো, তা ডুবে গিয়েছে।

কুলতলীতে ক্রমশ জলস্তর বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েসে। আসতে বোল্ডার একের পর এক ছিটকে পড়ছে টার জন্য বিভিন্ন রকমের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সঙ্গে যারা রয়েছে তারা…

আমফানের মূল কেন্দ্র এখনও দিঘা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আপাতত ওড়িশা উপকূলের খুব কাছ দিয়ে তা পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসছে। ওড়িশার পারাদ্বীপে প্রায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়শুরু হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। পুরীতে ঝড়ের বেগ বাড়ছে। গোপালপুরেও।

কলকাতাতেও মঙ্গলবার সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। সঙ্গে প্রবল হাওয়া। পাড়ায় পাড়ায় পুলিশ ঘোষণা করছে, কেউ যেন বাড়ির বাইরে না যান। কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে থাকা দশটি ছোট বিমান রাঁচি, গুয়াহাটি ও বারাণসীতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারণ, আশঙ্কা ছিলো, তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে ওই বিমান উড়ে যেতে পারে। বড় বিমানগুলি রাখা আছে। সেগুলি খুব ভারি বলে ঝড়ের তাণ্ডবেও কিছু হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এর থেকে অনেক বড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে মেদিনীপুর থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেখানে আশঙ্কা নদী বাঁধ নিয়ে। অনেক বাঁধের অবস্থা খারাপ। ফলে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বাঁধ ভেঙে নদীর জল ঢুকে পড়বে বিস্তীর্ণ এলাকায়। মেদিনীপুরে সারারাত ধরে জরুরি ভিত্তিতে কিছু বাঁধ মেরামতিহয়েছে।

সিপিএম নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি সহ সুন্দরবনে কাজ করেছেন এবং এখনও করছেন। তিনি বলেছেন, ”আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটার হলে অন্তত ১০০০ কিলোমিটারের বাঁধ ভাঙবে। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। তখন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। আমি রায়দিঘিতে হাজার খানেক লোককে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছি, সব ধরনের সাহায্য করতে চাই।”

আমফান তার গতিও ক্রমশ বাড়াচ্ছে। আগে তা ঘণ্টায় ১৪ তেকে ১৫ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছিলো। এখন তার গতিবেগ আরও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দিন সন্ধের পর ভরা কাটাল শুরু হবে। তার আগে ঝড় ঢুকে পড়লে খানিকটা স্বস্তি। কিন্তু ভরা কোটালের মধ্যে ঝড় ঢুকলে ক্ষতি আরও বাড়বে। নদী এবং সমুদ্রের জল ভাসিয়ে দেবে বিস্তীর্ণ এলাকা।

এ দিন দুপুরেও আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন দিঘা ও সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ১৩৫ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যাবে আমফান। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ কিলোমিটার। কলকাতাতে ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হবে বলে জানানো হয়েছে। ডয়চে ভেলে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024