1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 15, 2025, 6:40 am
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা আইনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

হাজার মাসের চেয়ে মূল্যবান লাইলাতুল কদর আজ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, মে ২০, ২০২০,
  • 505 Time View

মাহে রমজানুল মোবারকের আজ ২৬ তারিখ। আজকের দিবাগত রাত বা রমজানের ২৭তম রাত সাধারণভাবে লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত হিসেবে পরিচিত। আভিধানিকভাবে লাইলাতুল কদর অর্থ সম্মানের রাত। অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত এ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। কুরআন মাজিদে একটি সূরা নাজিল হয়েছে এ প্রসঙ্গে। এতেই ঘোষণা করা হয়েছে লাইলাতুল কদরের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি। তাফসিরের কিতাবগুলোতে উল্লেখ রয়েছে, একদিন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভেবে অস্থির হচ্ছিলেন যে, আগের নবীর উম্মতেরা দীর্ঘ হায়াত পেত। ফলে তারা অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগির সুযোগ পেত। কিন্তু শেষ নবীর উম্মতের হায়াত খুবই সীমিত। অতএব তাদের পক্ষে উচ্চ মর্যাদা লাভের সুযোগ কম। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এই সূরা নিয়ে উপস্থিত হন হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম। ফলে শান্ত হন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবিরা।

আল্লাহতায়ালা এ রাতেই কুরআন মাজিদ নাজিল করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তেমনি এ রাতটির মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি বলেও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু রাত কোনটি তা বলে দেননি। হাদিস শরিফেও নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোনটি কদরের রাত। নিঃসন্দেহে এতে অনেক রহস্য ও তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত অনুসন্ধানের তাগিদ দিয়েছেন। ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাতে পারলে এ রাতের প্রকৃত সুফল পাওয়া যায়।

কুরআন মাজিদের বর্ণনা অনুযায়ী, এই এক রাতে ইবাদতের বিনিময়ে হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াবের চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। হয়তো আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাননি মুসলমানরা একটি রাতের ভরসায় বসে থেকে সারা বছর বা সারা মাস অবহেলায় কাটিয়ে দিক। এ জন্য এটাকে রহস্যময় করে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমেই মূল্যবান কিছু অর্জন করতে হয়। যে রাতের মূল্য হাজার মাসের চেয়ে বেশি, তা যদি সহজে পাওয়া যেত, তাহলে মানুষ হয়তো এটাকে বেশি গুরুত্ব দিত না। তাই তা অনির্দিষ্ট করে রেখে মানুষকে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। কেউ কেউ রমজানের যেকোনো অংশে এ রাত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু বেশির ভাগ মনীষীর মতে রমজানের শেষে দশকেই তা লুকায়িত রয়েছে। আবার কারো কারো মতে, এ রাতের তারিখ পরিবর্তনশীল। কোনো বছর একুশ, কোনো বছর তেইশ, কোনো বছর পঁচিশ, কোনো বছর সাতাইশ, আবার কোনো বছর ঊনত্রিশ তারিখের রাত লাইলাতুল কদর হয়।

কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে অনেক মনীষী রমজানের সাতাইশ তারিখের রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এ ব্যাপারে সাহাবিদের মধ্যে এ উম্মতের শ্রেষ্ঠ কারী হিসেবে আখ্যায়িত হজরত উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি জোর দিয়ে বলতেন, রমজানের সাতাইশতম রাতই কদরের রাত। অন্য দিকে ফিকাহ ও ইজতেহাদের জ্ঞানে চার খলিফার পরেই যার স্থান, সেই হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, এটা রমজানের বাইরেও হতে পারে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মন্তব্য সম্পর্কে হজরত উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, আমার ভাই আবদুল্লাহ ভালো করেই জানেন, এটা রমজানের মধ্যে এবং তা সাতাইশতম রাত। কিন্তু লোকেরা এ রাতের ভরসায় বসে থাকবে এবং আলসেমিতে সারা বছর ও সারা রমজান মাস কাটিয়ে দেবে- এ ভয়ে তিনি তা লোকদের জানাতে চান না। হজরত উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন সাতাইশ রমজানের রাতটিই কদরের রাত? জবাবে তিনি বলেন, এ রাতের যেসব আলামত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বলেছেন, আমরা সেগুলো সাতাইশ তারিখে পেয়েছি।

তবে মনে রাখা প্রয়োজন, কদরের রাতের যে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য তার মূল উপাদান কুরআন মাজিদ। শেষ নবীর উম্মতের জন্য জীবনব্যবস্থার চূড়ান্ত নির্দেশনা হিসেবে কুরআন মাজিদ নাজিলের সাথে রাতটি সম্পর্কিত হওয়ায় এই মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য সাব্যস্ত হয়েছে। অতএব এ রাতের সুফল পুরো মাত্রায় পাওয়ার জন্য কুরআন মাজিদের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করাই আসল উপায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024