কাগজ ডেস্বিক: এনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন দুইটি ইসলামী ও একটি নবীন দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপ্রচার এবং আবার নির্বাচন প্রলম্বিত করতে যড়যন্ত্র করছে ।
তিনি আজ বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রখছিলেন ।
কর্মী সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন বিএনপি কচু পাতার ওপর পানি না যে টোকা দিলেই পড়ে যাবে । বিএনপি হিমালয়ের মতো শক্তিশালী ও একই সাথে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল । জনগণের ভেতরে এই দলের শেকড় । বিএনপি সর্ম্পকে অপ্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না ।
তিনি বলেন , নবীন দলের কেউ কেউ আগামী নির্বাচনে চারশত আসনের মধ্যে তিনশত আসন নিজেদের দখলে রাখার আর বিএনপিকে ছাড় দিয়ে পঞ্চাশ থেকে একশত আসন দেবার কথা বলছেন , তাদেরকে বলব এতই যখন আত্ম বিশ্বাস, আর দেরি না করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলুন সরকারকে , জনপ্রিয়তা , গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করুন ,দেখুন জনগণ কী চায় । তিনি বলেন এক কাউয়া পালিয়ে গেছে , আরেক কাউয়ার দেখা মিলেছে ।” পাগলের সুখ মনে মনে “ প্রবাদটি উল্লেখ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন
যারা জীবনে ভোট দেয় নাই , জনগণের কাছে ভোট চায় নাই তারা কিনা ভোট ও রাস্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক করে ! কী সেলুকাস ! বিএনপি অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার নিরিখে কথা বলে ।
তিনি বলেন , গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস দিয়ে কেউ কেউ বলছেন ধানের শীষ নাকি মানুষ চেনে
না । তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই , ধানের শীষ মানুষ চেনে কী না , তা আগামী নির্বাচনই বুঝতে পারবেন । পরিস্থিতি অহেতুক উত্তপ্ত করে রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করতে তারা গরম গরম ও হিংসাত্মক বক্তৃতা দিচ্ছে । বিএনপি সেই ফাঁদে পা দেবে না ।
তিনি বলেন ,নির্বাচনকে প্রলম্বিত ও অনিশ্চিত করার যড়যন্ত্র এখনও শেষ হয় নাই । যারা লন্ডনে ডক্টর মুহম্মদ ইঊনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের ফলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের টাইম লাইন নির্ধারণে খুশি হতে পরে নাই , নির্বাচন হলে তাদের গুরত্ব কমে যাবে – এই আশংকায় তারা সমস্বরে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত এবং একই সাথে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে ব্যস্ত । তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি জটিল করতে তৎপর । দলের সংখ্যা নয় , বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন । দেশ , জনগণ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপি যে কোন সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পরে , রাস্ট্র মেরামতের একত্রিশ দফা তার বড় প্রমাণ । বিএনপি জগনের পালস বুঝে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নেয় এবং যৌক্তিক যে কোন বিষয় সাদরে গ্রহণও করে । কিন্তু দুই তিনটি দল লন্ডন বৈঠকের পর থেকে ডেডলক সৃস্টির অপচেষ্টা করছে । তারা বিএনপির বিরুদ্ধাচরণ করতে যেয়ে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে । কর্মী সমাবেশে তিনি ভোগ নয় ত্যাগ ও নিঃস্বার্থ জনসেবার মানসিকতা নিয়ে নেতাকর্মীদের রাজনীতি করার আহবান জানান । ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার হিসাব কোষলে রাজনীতিতে সফল হওয়া যাবে না । তিনি বলেন আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন , শুধু কথামালার আর আশ্বাসের রাজনীতির দিন শেষ । দেশপ্রেম ও নিঃস্বার্থ জনকল্যাণে নিজেদেরকে উৎসর্গ করার মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করতে হবে ।
পোড়াকান্দুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন , উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন , ফরহাদ রব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস , হাবিবুর রহমান , সোলায়মান সরকার আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার , জাকিরুল ইসলাম টোটন ,গাজিউর রহমান , হুমায়ূন কবীর সরকার ,আবদুল মোমেন শাহীন , ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলী হোসেন , জামাল উদ্দিন ,রফিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান বাদশা ,জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মওলানা ওবায়দুল্লাহ ,জেলা যুবদল নেতা নয়ন মিয়া, উপজেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাসান শাহ , ধোবাউড়া কলেজ ছাত্র দলের সদস্য সচিব মামুন হাসান , পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি রিপন হাসান , যুবদল নেতা বাবুল মিয়া, মোশারফ হোসেন , মোফাজ্জল হোসেন , সবুজ খান , গোলাম রব্বানী, ইমন মিয়া, শকত হাসান প্র্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।
এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ধোবাউড়ায় বিগত ১৮ জানুয়ারী জিয়া জন্মোৎসবে চক্ষু শিবিরে দ্বিতীয় ধাপে বিনামূল্যে অপারেশনকৃত সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের চিকিৎসার খোজখবর নেন । তিনি তাদের সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন ।
এছাড়াও তিনি ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে অবহিত হন । তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান পরিস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় মনযোগী হতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান । তিনি হাসপাতালে জেনারেটর ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।