কাগজ প্রতিবেদক, ভালুকা
ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শহিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলে গতকাল বুধবার বিকেলে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের জনৈক অটোচালকের ত্রিশাল ভালুকা মৈত্রী ডিগ্রি কলেজে পড়ূয়া ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে প্রতিবেশি মৃত হাজী হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদ মিয়া (৪৫)ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই মেয়ের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসলে শহিদ মিয়া পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস মিমাংসার চেষ্টা করেও বিচার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ করেন। বুধবার দুপুরে নোটিশের মাধ্যমে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ডাকা হলে উভয় পক্ষ হাজির হন। কিন্তু বিষয়টির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন নির্বাহী অফিসার আলী নূর খান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ভেতর থেকে বের হওয়ার এ সময় অভিযুক্ত শহিদ মিয়ার স্ত্রী দুলেনা খাতুন ভিকটিমের পক্ষের স্বাক্ষী আব্দুল কাদেরসহ দুইজনকে জুতাপেটা করেন। বিষয়টি নির্বাহী অফিসার সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে শহিদ মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে শহিদ মিয়াকে আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) শামছুল হুদা খান জানান, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী নূর খান জানান, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় দুই পক্ষকেই মির্মাসার জন্য নোটিশের মাধ্যমে তার কার্যালয়ে ডাকা হয়। কিন্তু কার্যালয়ের ভেতর তারা মারমুখি হয়ে উঠে। বিষয়টি যেহেতু ফৌজধারী অপরাধ এবং তাঁর কার্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই থানায় খবর দিয়ে তাদের কয়েকজনকে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে।