কাগজ প্রতিবেদক
শুভ মহালয়া থেকে শুরু হলো দূর্গাপূজার ক্ষণগনণা। অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভশক্তি প্রতিষ্ঠায় মর্তে এসছেন দেবী দূর্গা। শুভ মহালয়া পূণ্য প্রভাতে দেবী আবাহনের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার ভোরে ময়মনসিংহে দুর্গাবাড়ি নাট মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজার শুভ সুচনা হয়েছে। আর্যধর্ম জ্ঞানপ্রদায়িনী সভা (ধর্মসভা) দুর্গাবাড়ি মন্দির আয়োজিত দেবী আবাহনে শঙ্খধ্বনি, শ্রী শ্রী চন্ডিপাঠ, মহালয়ার ঘট স্থাপন, সমবেত সঙ্গীত, মাতৃ বন্দনা ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে দেবীকে মর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এতে চন্ডী পাঠ করেন মনিভূষণ ভট্টাচার্য্য। মাতৃসঙ্গীত পরিবশন করেন-প্রদীপ চক্রবর্তী, তপতী রায়, চিন্ময় কান্তি সরকার, সুকান্ত সরকার, শান্তা পাল তুলি, রাজলক্ষ্মী সরকার। নারী শক্তির সদস্যরা শঙ্খধ্বণী ও উলুধ্বণী দেন। যন্ত্র সংগীত পরিবেশন করেন ওস্তাদ সমীর চন্দ্র কটন, প্রদীপ চক্রবর্তী, কমল পোদ্ধার এবং অঞ্জন চক্রবর্তী। এসময় মানস তালুকদারের পরিচালনায় মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। দেবী আবাহন অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মালম্বীদের শত শত ভক্তকুলসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত শুভ মহালয়ার দিন থেকেই পূজারীরা দুর্গা মায়ের আগমন ধ্বনি শুনতে পান। এ বছর জেলায় ৮১৫টি জায়গায় শারদীয় দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলতি বছর জেলায় ৮৪১টি মন্দির ও অস্থায়ী মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গতবারের চেয়ে ১০টি বেশী। আর ময়মনসিংহ সদরে ১৩৫ মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও হালুয়াঘাট উপজেলায় ৬৫, ধোবাউড়া ৩৩, ফুলপুর ৪৮, তারাকান্দা ৫২, গৌরীপুর ৬৫, মুক্তাগাছা ১১৫, ফুলবাড়ীয়া ৭০, ত্রিশাল ৭৮, ঈশ্বরগঞ্জ ৬৫, নান্দাইল ৩২, গফরগাঁও ২০ এবং ভালুকা ৬৭টি পুজা অনুষ্ঠিত হবে।