1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 15, 2025, 12:03 am
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা আইনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

ময়মনসিংহে দর্জি শ্রমিকদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ ও চাকুরির নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে মিছিল ও মানববন্ধন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪,
  • 60 Time View

কাগজ প্রতিবেদক
ময়মনসিংহে তৈরী পোষাক, টেক্সটাইল এবং দর্জি শ্রমিকদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ ও চাকুরির নিরাপত্তাসহ অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের দাবিতে মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন মিছিল সহকারে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে এসে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করে।
দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোখলেছুর রহমান দুলালের সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাবলী আকন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের পোশাক শিল্পের অন্তর্গত তৈরি পোশাক খাত, কটন-টেক্সটাইল এবং লোকাল গার্মেন্টস (দর্জি)- এর সাথে যুক্ত সকল শ্রমিক এক নিদারণ কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করছেন। ফুরণভিত্তিক (পিস রেট), ফিক্সড (১২ ঘন্টার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা) বা ৮ ঘন্টার কর্মদিবসে মাসিক মজুরি-যে নিয়মেই মজুরি প্রদান করা হোক না কেন তা দিয়ে বর্তমান বাজারদরে শ্রমিক পরিবারগুলোতে ১ সপ্তাহও চলা সম্ভব হয় না। ফলে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে জীবন পাড় করতে হচ্ছে শ্রমিক পরিবারগুলোকে। অসুখ-বিসুখে চিকিৎসা করাতে না পেরে পরিবারের অন্য সদস্যসহ শ্রমিকরা ধুঁকে ধুঁকে জীবন পাড় করছেন। নামমাত্র মজুরিতে চাকরি করে শ্রমিকরা তাদের সংসারের নিত্যনৈমিত্তিক জরুরি প্রয়োজনগুলো মেটাতে না পেরে অথবা কারখানা কর্তৃপক্ষের চাপে বাধ্য হয়ে ওভারটাইম করলেও মালিকরা সঠিক নিয়মে শ্রমিকদের ওভারটাইমের মজুরি পরিশোধ করে না। অনেক কারখানায় দেখা যায়, কোন শ্রমিক ১০০ ঘন্টা ওভারটাইম করলে ৮০ ঘন্টার মজুরি পরিশোধ করে বাকিটা কারখানা কর্তৃপক্ষ আত্মসাৎ করে ফেলেছে। তাছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত চাপ ও নির্যাতন চালিয়ে শ্রমিকদের সক্ষমতার অতিরিক্ত কাজ আদায় করছে। কোন শ্রমিকের কোন আইটেম ৬০ পিছ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও তাকে তখন জোর করে ৮০ পিছ উৎপাদন করানো হয়, ফলে সঙ্গতকারণেই শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোন কোন সময় অসুস্থ হয়ে শ্রমিকরা কারখানা ফ্লোরে ঢলে পড়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষ এসব অসুস্থ শ্রমিকদের আইন অনুযায়ী অসুস্থতাজনিত ছুটি না দিয়ে বিনাবেতনে ছুটি প্রদান করে। এমনকি আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা বৎসরে ২০ দিনের বাৎসরিক ছুটি পাওয়ার অধিকারী হলেও অনেক মালিকরা তা প্রদান করে না। বিগত স্বৈরাচারী সরকারগুলোর ন্যায় আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারী সরকারের সময়েও শ্রমিকরা তাদের সমস্যা-সংকটের দাবিতে সুষ্টুভাবে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে পারে নি। গার্মেন্টস শিল্পাঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস কার্যকর করে শ্রমিকদের সভা-সমাবেশ ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রায় হরণ করা হয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও এখনও পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের সভা-সমাবেশ ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদান করা হয় নি। কারখানা মালিকদের নির্মম শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা কোথাও প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের মারধোর-নির্যাতন করে শিল্পাঞ্চলে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ কারণেই শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে শিল্পাঞ্চলে আজ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে কোন প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার তৎপরতা চালালে এর দায় পোশাক মালিকদেরকেই নিতে হবে। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে শিল্পাঞ্চলে গণতান্ত্রিক শিল্প পরিবেশ সৃষ্টি করে বর্তমান অস্থিতিশীলতার নিরসন করতে হবে। কিন্তু পোশাক খাতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার যৌথবাহিনী দিয়ে অভিযান চালানোর নামে যদি শ্রমিকদের সভা,সমাবেশ ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ করে আন্দোলনকারী শক্তি হিসেবে ওএসকে’ শ্রমিক ফেডারেশন মালিকদের নিপীড়ন ও সরকারের স্বৈরাচারী তৎপরতার বিরুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলনকে অগ্রসর করবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে পশ্চিমা বিনিয়োগকারী গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও এনজিও সংস্থা শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলে মালিকদের শোষণ-নিপীড়নকে আড়াল করে সাম্রাজ্যবাদী দেশ ও তাদের সংস্থাসমূহের এজেন্ডা-কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে শ্রমিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ভূমিকা রেখে চলেছে। একই সাথে পশ্চিমা বিরোধী শক্তি চীন-রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের লগ্নিপুঁজিও এদেশে বিনিয়োগ রয়েছে এবং শিল্প সেক্টরে তাদেরও অবস্থান রয়েছে। এছাড়াও লুম্পেন, প্রতিক্রিয়াশীল, সুবিধাবাদী এবং মালিকদের পকেটস্থ কিছু শ্রমিক নামধারী সংগঠন মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে শিল্পাঞ্চলে প্রতারণার জাল বিস্তৃত করে রেখেছে। মালিকদের স্বার্থরক্ষাকারী এসব গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে প্রকৃত শ্রমিক আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। গার্মেন্টস সেক্টরে এর বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের স্বরুপ উন্মোচন করে শ্রমিকদের আইনি অধিকার রক্ষা ও শোষণমুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অগ্রসর করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024