কাগজ প্রতিবেদক, ভালুকা
ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার স্লিপারের ফাঁক দিয়ে পড়ে মারা গেছে ইলমা(৪) নামে প্রায় চার বছরের এক শিশু। ইলমা উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের বর্তা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। উপজেলার বর্তা গ্রামে অবস্থিত শিশু বিকাশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকালে ওই ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনার জন্যে স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্ব থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অবহেলাকে দায়ী করছেন।
শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের বর্তা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে ইলমা তার বড় বোন ইজমার সাথে গত শনিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা করতে যায়। একপর্যায়ে ওই শিশু বিদ্যালয়ে স্লিপারের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে এবং প্রায় ছয় মাস আসে স্লিপারের ঝালাই খোলে ফাঁক হয়ে থাকা স্লিপের ফাঁকা অংশ দিলে ইলমা নীচে মাটিতে পরে গুরুতর আহত হয়। পরে উদ্ধার করে তাঁকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, স্লিপার থেকে পড়ে শিশু ইলমার মৃত্যুর পর রোববার তড়িগড়ি করে স্লিাপারের খোলে ফাঁক হয়ে থাকা স্লিপিং প্লেট মেরামত করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,এক শিশুর মৃত্যুর পর রোববার সকালে তড়িগড়ি করে স্লিপারের লোহারপতা ফাঁক হয়ে থাকা প্লেটটি লাগানো হলেও নীচের খোলা অংশ মেরামত করা হয়নি। এতে, যেকোনো সময় আবারো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । তারা ওই ঘটনার জন্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র ভৌমিকের অবহেলাকে দায়ি করছেন। তাদের মতে স্লিপারের খোলে যাওয়া অংশটি অনেক আগেই মেরামত করা উচিত ছিলো।
প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র ভৌমিক জানান, এটি একটি দুর্ঘটনা। তাছাড়া, স্লিপারটি মেরামতের জন্য দুই মাস আগে এক ওয়েলডিং মিস্ত্রীকে বায়না দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সময় দিতে পারছিলেন না। এ ঘটনা জন্য দায়ীকে প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষক বলেন এ ঘটনার জন্য আমি দায়ী না। দুর্ঘটনার জন্য কেউ দায়ী হয় না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহাম্মেদ জানান,বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। জেনে ব্যবস্থা নেবেন।