1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 14, 2025, 5:55 pm
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা আইনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

ভদ্রবেশে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে নারীরা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৪,
  • 64 Time View

কামরুজ্জামান মিন্টু
ময়মনসিংহ শহর থেকে গ্রামেও হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। এর সঙ্গে জড়িত মূলহোতারা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। বেশীরভাগ মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে ছোট মাদক কারবারিসহ খুচরা বিক্রেতারা। পুরুষদের পাশাপাশি সর্বনাশী মাদক ব্যবসার এ রাজ্যে পা বাড়াচ্ছেন নারীরাও। এরপর সময়ের পরিক্রমায় নিজেও মাদক সম্রাজ্ঞী বনে যাচ্ছেন। বর্তমানে নারীদের মাদক কারবার জমজমাট হয়ে উঠেছে। ভদ্রবেশে-ছদ্মবেশী নারীরা নানা কায়দায় মাদক পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবারিদের নিয়মিত আটক করে মাদকদ্রব্য জব্দ করলেও মাদকের বিস্তার কমছেই না। এতে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিন যত যাচ্ছে মাদক ব্যবসা আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন ক্রেতা তৈরি হওয়ায় মাদক কারবারিরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ মাদক জব্দ হচ্ছে; তা সরবরাহের তুলনায় যতসামান্য। পুরুষ মাদক কারবারিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে নারীরা। এসব নারীদের অনেকে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মাদকদ্রব্য বহন করে পৌঁছে দিচ্ছে। এতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে তাঁরা। বিশেষ করে উঠতি বয়সী নারী চক্রগুলো অনেক সময় বোরকা পড়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রী বেশে ব্যাগে করে এরা মাদক আনা নেওয়ার কাজ করছে। ফলে গ্রেপ্তার হচ্ছে খুব কম সংখ্যক মাদক কারবারি নারী। মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত নারীদের বেশীরভাগই মধ্যবয়সী।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কুশাবেনু গ্রামের মৃত মৃত হানিফ শেখের স্রী রোজিনা আক্তার ওরফে নাসিমা (৫৫)। গত ৭ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড সড়কে চেকপোষ্ট পরিচালনা করেছিল র‌্যাব। এসময় নাসিমাকে সন্দেহ করে সঙ্গে থাকা পার্স ব্যাগের ভিতরে তল্লাশি করলে পাওয়া যায় আনুমানিক ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৮২ গ্রাম হেরোইন। এমতাবস্থায় তাকে আটক করা হয়। নাসিমা ছাড়াও মাঝেমধ্যেই আটক হচ্ছে নারী মাদক কারবারি, জব্দ করা হচ্ছে মাদকদ্রব্য।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের মহিষলেটি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে মর্জিনা বেগম (৪৪)। চোরাকারবারি চক্রের যোগসাজশে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে মাদকদ্রব্য এনে বিক্রি করতেন এই নারী। এরপর বিক্রি করা হতো নানা জায়গায়। গত ১৫ অক্টোবর ভোরে উপজেলার শাপলা বাজারগামী সুশীলের মোড়ে ৪৫ বোতল ফেনসিডিল বিক্রি করতে আসেন মর্জিনাসহ আরেকজন পুরুষ। এসময় থানা পুলিশ টের পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ নারীকে আটক করতে পারলেও সঙ্গে থাকা আরেকজন পালিয়ে যায়। ফেনসিডিলগুলোর আনুমানিক মূল্য এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দেওপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্রী ফিরোজা বেগম (৫৫)। তিনি মাদক কারবারি চক্রের সঙ্গে কাজ করেন। সুযোগ বুঝে বিভিন্ন জায়গায় মাদকের পাইকারসহ ক্রেতাদের হাতে মাদক পৌঁছে দেন এই নারী। গত সোমবার ফিরোজাসহ আরও তিনজন মাদক নিয়ে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া মোড়ে আসেন। এসময় তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ করে র‌্যাব। তুমুল জিগ্যেসাবাদের একপর্যায়ে নারীকে রেখে সঙ্গে থাকা তিনজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় নারীকে আটক করলে সে নিজেই সঙ্গে থাকা ৮০ গ্রাম হেরোইন বের করে দেয়। যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা।
এভাবে নারী-পুরুষ মিলে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে মাঝেমধ্যে মাদক জব্দসহ তাঁরা আটক হলেও ঘটছে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল মাদক বেচা-কেনার খবর পেয়ে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তোতার মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জামাল হোসেনসহ আরও একজনকে গাঁজাসহ আটক করে পুলিশ। তাদেরকে থানায় নিয়ে আসার সময় চিৎকার শুরু করে। আটকদের চিৎকারে সেখানে অন্তত ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে আটক দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে আহত হয় পুলিশের পাঁচ সদস্য। এ ঘটনায় এসআই আক্তারুজ্জামান মিয়া বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০ থেকে ৯০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রগুলো জানায়, নগরীর পাটগুদাম, চরপাড়া, ব্রাহ্মপল্লী, সেহড়া চামড়া গুদাম, পুরোহিতপাড়া, নতুন বাজার, কৃষ্টপুর, আকুয়া, সানকিপাড়া, তিনকোণা পুকুর পাড়, সেনবাড়ি, কাঁচিঝুলি, কেওয়াটখালী, মাসকান্দাসহ চায়নামোড় ও শম্ভুগঞ্জ মোড়সহ বিভিন্ন স্পটে মাদক কেনা-বেচা হয়। এছাড়াও সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মাদক। মাদক ছড়িয়ে দিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল ও গাঁজা ব্যবসায় এরা তৎপর এরা।
জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন কালাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত মাদক কারবারিদের আটক করে মাদকদ্রব্য জব্দ করছে। তবুও
বিভিন্ন কৌশলে ঠিকই মাদকসেবিদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে মাদক। এ কাজে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াচ্ছে পুরুষ মাদক কারবারি চক্র। কারণ, নারীদের দিয়ে নানা কায়দায় সহজেই মাদক পৌঁছে দেওয়া যায়। ফলে যুব সমাজের অভিভাবকসহ সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিদিন সাড়াশি অভিযান চালানো প্রয়োজন।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শরীরের সংবেদনশীল জায়গায় লুকিয়ে ইয়াবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার সহজ ও নিরাপদ হওয়ায় ভয়ংকর এ কারবারে নারীদের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। শুরুতে তারা মাদকের বাহক থাকলেও ধীরে ধীরে নিজেরাই মাদকের সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠেন। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মাদক পাঠাচ্ছেন তাঁরা। ফলে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন থানাপুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকসেবিসহ মাদক কারবারিদের নিয়মিত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবুও গোপনে চলছে কেনাবেচা। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারিদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তবে এদের অনেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ছে। সব মাদক কারবারিদের চিন্হিত করে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মো আব্দুল হাই চৌধুরী বলেন, প্রায় সময়েই পুরুষ মাদক কারবারিদের সঙ্গে নারী মাদক কারবারিদেরও আটক করা হচ্ছে। মাদকের বিস্তার কমাতে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024