মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে টানা সপ্তম দিনে রোববারও গার্মেন্টস কর্মীদের ঢল লক্ষ করা গেছে। যানবাহন ও অতিরিক্ত ভাড়া কোনো দূর্ভোগই তাদের থামাতে পারছে না। প্রতিদিনই ছুটছেন গার্মেন্টসের নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মস্থল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের উদ্দেশ্য। শুধু গার্মেন্ট কর্মীরাই না বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী কর্মকর্তারাও ঢাকার কর্মস্থলে যেতে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে আসছেন।
রোববার পর্যন্ত টানা সপ্তম দিনেও দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলা থেকে কাঁঠালবাড়িঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে হাজারো শ্রমিক পদ্মা পাড়ি দিয়ে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। করোনা ঝুঁকির মধ্যে ফেরি ও ট্রলারে গাদাগাদি করে ঢাকামুখী শ্রমিকরা ছুটে চলছেন। শিমুলিয়া ঘাটে এসে যানবাহনের অভাব অতিরিক্ত ভাড়া ও চরম ভোগান্তি নিয়েই ছুটছেন ঢাকায়।
জানা গেছে, রোববারও সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি ফেরি কাঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসে নোঙর করে। কিন্তু নোঙর করার আগেই ফেরি থেকে যাত্রীরা জোয়ারের মতো নামতে থাকেন। কার আগে কে নামবে অনেকটা এ রকম প্রতিযোগিতা ছিল। করোনার কোন আতঙ্ক তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি। আগে চাকরি তার পরে প্রাণ, অনেকটা এরকমই ভাব ছিল তাদের মধ্যে।
মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, রোববারও দক্ষিণবঙ্গের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করে শত শত শ্রমিক। ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রীদের আসার চিত্র দেখা যায়। তিনি আরো জানান, ফেরি ও ট্রলারে গাদাগাদি করে শ্রমিকরা ছুটে আসার কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তবু তাদের ঢাকায় ছুটে চলা থামানো যাচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফেরি ও ট্রলারে ছুটে আসছেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, সীমিত আকারে আজকে ৫টি ফেরি চলছে। গাড়ি বেশি হলে ৬টি ফেরি চলে। জরুরী সেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একই সাথে যাত্রী সাধারণ ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় রোববার সকাল থেকে কম সংখ্যক যাত্রী পারাপার হতে দেখা গেছে।
এ দিকে শিমুলিয়াঘাটে আসার পর শ্রমিকগণ ছোট ছোট যানবাহনে চড়ে সড়কে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢাকায় ছুটছেন তারা। আবার যানবাহনের অভাবে কেউ কেউ পায়ে হেটেই ছুটে যাচ্ছেন ঢাকায়। এতে অবর্ণনীয় দূর্ভোগের কবলে পড়েছেন মাওয়া ঘাটে আসা যাত্রীরা।