কাগজ প্রতিবেদক
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ বলেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হচ্ছে যুব সমাজ। এখানে যুব ও যুব নারী রয়েছে। দেশ গঠনে ও সুস্থতা রক্ষায় এ সমাজের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশের এ সমাজের প্রায় ৫ কোটি ৩০ লক্ষ যুব ও যুবনারী যদি একসাথে কাজ করে তাহলে আমরা কোথায় পৌঁছবো সেটা আমাদের ভাবা উচিত। শনিবার সকালে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকান্ডে যুবদের ভূমিকা শীর্ষক জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ও যুব উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা, যুব উদ্যোক্তা, যুব প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে অল্প বয়সে সন্তানের মা হওয়া, ঘরের ভিতরে ও বাহিরে নির্যাতনের শিকার হওয়া, এটা যুবনারীর সাথে প্রায়শই ঘটে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইভটিজিংয়ের শিকার যেমনটা হয়ে থাকে কর্মক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। এসব থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। যুবনারীদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তা নাহলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এসব নির্যাতন প্রতিরোধ করতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। একাজে সহযোগিতায় পিছিয়ে থাকলে হবে না সাংবাদিক ও শিক্ষকমন্ডলীর।
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে সভায় বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ।
বৈষমবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, এ আন্দোলনে প্রায় ৩০ হাজার যুবক আহত হয়েছে। ৭০০ জনের মতো চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে। সরকারের দিক থেকে তাদের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। এদেশ তারুণ্যের উৎসবে মেতে উঠবে। জনসংখ্যার ৬৫% কর্মক্ষম লোকের কাজের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। যুবক-যুবতীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।