1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 18, 2025, 6:01 am
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা ইউনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

ঢাকার মানবপাচার চক্র বেশি সক্রিয় দিল্লি-দুবাই রুটে

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, মে ৩০, ২০২০,
  • 194 Time View

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে লিবিয়া দিয়ে ইউরোপে মানবপাচারকারী দেশীয় চক্র সক্রিয় রয়েছে। সম্প্রতি এই চক্রের সদস্যরা দিল্লি-দুবাই হয়ে লিবিয়াকে ট্রানজিট রুট ব্যবহার করে ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে নৌপথে মানবপাচার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ লিবিয়ায় যে ২৬ বাংলাদেশীসহ ৩০ জন নির্মমভাবে খুন হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই দিল্লি-দুবাই রুট ব্যবহার করে লিবিয়াতে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

লিবিয়ার ত্রিপোলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) এ এস এম আশরাফুল ইসলামের সাথে গতকাল শুক্রবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি  এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ঢাকা থেকে লিবিয়াকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে ইউরোপে কারা কারা মানব পাচারে জড়িত, তাদের সবার নাম ঠিকানা আমরা উল্লেখ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দূতাবাস থেকে মিনিস্ট্রিকে আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। কিন্তু এরপরও কিভাবে শত শত লোক ভিজিট ভিসা নিয়ে লিবিয়াতে চলে আসছে তা বুঝতে পারছি না। তিনি এ ধরনের অবস্থায় হতাশা প্রকাশ করেন।

২০১৯ সালে লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের ‘২০১৯ ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট-লিবিয়া’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে লিবিয়ায় ডমেস্টিক ও ফরেইনার ভিকটিম মিলিয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবপাচারকারী চক্রের মাধ্যমে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৪৫ জন অভিবাসী (নারী-পুরুষ ও শিশু) ইউরোপে পাচার হয়ে গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা কত তা রিপোর্টে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি। পরে তাকে খুদেবার্তা পাঠিয়ে ইউরোপে মানবপাচার রোধে দূতাবাসের পক্ষ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে সেটির তিনি কোনো উত্তর দেননি।

লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের তৈরি করা মানব পাচার প্রতিবেদনে ৫ বছরে সাড়ে ৬ লাখ লোককে ইউরোপে পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে লেবার কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম   বলেন, আসলে এই মুহূর্তে লিবিয়াতে দু’টি সরকার বিদ্যমান। একটি জাতিসঙ্ঘ মনোনীত জিএনএ এবং বিদ্রোহী সরকার হচ্ছে এলএনএ। এখন আমেরিকানরা কিভাবে, কোন সোর্স থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করল সেটি তো আর আমরা জানতে পারব না। তবে ঢাকা থেকে বিভিন্ন দেশ হয়ে লিবিয়া আসার পর বেনগাজি থেকে যে ১৫০০ কিলোমিটার ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রার আগে ঘাটে যেতে হয় সেটির তথ্য আমাদের পক্ষে কোনোভাবেই সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। এটা খুবই কঠিন ব্যাপার। সেই পরিমাণ লজিস্টিক সাপোর্ট আমাদের দূতাবাসেও নেই। তাই আমেরিকার তৈরি করা সাড়ে ৬ লাখ মানব পাচারের শিকারের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশের কতজন রয়েছে সেই রিপোর্ট না দেখে আমি কিছু বলতে পারছি না এই মুহূর্তে।

তিনি ইউরোপে ভয়ঙ্কর মানবপাচারের সামান্য তথ্য জানিয়ে বলেন, ঢাকা থেকে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশীদের শ্রীলঙ্কায় পাঠায়। সেখান থেকে দুবাই নেয়। আবার কখনো কখনো মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়ার বেনগাজিতে নিয়ে আসে। এরপর সুযোগ বুঝে তারা ইউরোপে পাঠায়। এর আগে একটি ঘরে জিম্মি করে রাখে।
তিনি বলেন, যে ২৬ জন বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তাদের অধিকাংশই দিল্লি-দুবাই হয়ে বেনগাজি এসেছে বলে জানতে পেরেছি।

তিনি মানব পাচারের ট্রানজিট রুট উল্লেখ করে বলেন, বেনগাজি থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য লিবিয়ার জোয়ারা নামক একটি ঘাট রয়েছে। সেখানে পৌঁছাতে হলে বেনগাজি থেকে ১৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। আর এই পথ এতটাই ডেঞ্জারাস যে যখন তখন সন্ত্রাসী অপহরণকারী চাঁদাবাজ দলের সদস্যদের আক্রমনের শিকার হয়ে হতাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একেক জন লোককে ইউরোপের দেশ ইতালিতে পাচারের জন্য দালালরা ৭-৮ লাখ টাকা নিয়ে থাকে। তিনি বলেন, মূলত মানবপাচারের সময়টা হচ্ছে মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। এই সময়ে সাগর স্থির থাকে। নৌকা ডুবির ঝুঁকি কম থাকে। ওই সুযোগেই নিহত বাংলাদেশীদের পাচারের উদ্দেশ্য সেখানে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সেখানেই হাতাহাতির এক পর্যায়ে পাচারকারী দলের এক সদস্য নিহত হওয়ার জের ধরে পরে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলেছে বলে বেঁচে যাওয়া একজনের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি। বর্তমানে বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ১১ জনের মধ্যে কয়েকজন সুস্থ আছেন। তাদের সাথে আমরা কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। কিভাবে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটল।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুস সালেহীনের সাথে গতকাল সন্ধ্যার আগে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস (শ্রম) থেকে মন্ত্রণালয়ে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে পাঠানো প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলেও তিনি টেলিফোন ধরেননি।

অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, গুলশান, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা এলাকায় গড়ে ওঠা মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতিদিন নানা কৌশলে গ্রামের অসহায় মানুষদের ইউরোপে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখিয়ে পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করায় তারা আরো বেপরোয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে শ্রম কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম   প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা ঢাকার এয়ারপোর্ট স্ক্রিনিং হয়ে কারা কিভাবে লিবিয়া দিয়ে ইউরোপে মানবপাচারের সাথে জড়িত তাদের নাম ঠিকানাসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে সচিত্র প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর কি হয়েছে তা আর জানতে পারি নাই। মনে হয় প্রতিবেদনে কোনো কাজ হয়নি। নতুবা আমাদের মহামান্য হাইকোর্ট থেকে লিবিয়ায় আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার পরও কিভাবে দিল্লি ও দুবাই রুট ব্যবহার করে শত শত লোক লিবিয়াতে চলে আসছে তা আমার মাথায় আসছে না।

মিসর থেকে জনৈক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করে  বলেন, বাংলাদেশ থেকে দালাল চক্র মিসরের বর্ডার দিয়ে লিবিয়াতে লোক পাচার করছে। অথচ এই অভিযোগের কারণে মিসরের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। আর মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে একেবারে নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

এ দিকে জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে চলতি মাসের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে। এভাবে সাগরপথে যাত্রার কারণে নৌকা ডুবে ১৯ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশী বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমধ্যসাগর দিয়ে যত মানুষ ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছে তার তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে ১০ নম্বরে। সূত্র: নয়া দিগন্ত

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024