1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 14, 2025, 5:57 pm
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা আইনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

কুমিল্লার তিন উপজেলায় এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪,
  • 105 Time View

কাগজ ডেস্ক
জেলার বন্যা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে উন্নতি হলেও কুমিল্লার দক্ষিণ অঞ্চলের তিন উপজেলা লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটের বন্যার পানি যেন নামছে না।এ তিন উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টিই আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেলেও অন্য উপজেলাগুলোর তুলনায় লাকসাম মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটের বানের পানি কম হারে নামছে। এসব এলাকায় এখনো পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। এতে বানভাসি মানুষের ভোগান্তি রয়েই গেছে। এখনও অনেকের বাড়িতে পানি রয়েছে। মনোহরগঞ্জের বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ডুবে আছে। ফলে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের এ তিন উপজেলায় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে লাকসামে একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন দুই লাখের বেশি মানুষ নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন আরও দুই লাখের বেশি মানুষ উপজেলা পানি বন্দি মানুষ ১৭২টি সরকারি আশশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন বন্যাকবলিত ৪৫ হাজার মানুষ।
সরেজমিনে তিন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, লাকসাম পৌরসভা ও মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটের উপজেলা সদরের মানুষের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট থেকে পানি নামতে শুরু করলেও উপজেলা তিনটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামে রাস্তাঘাট, বাড়িঘরে এখনো পানি রয়েছে। টানা ৩৭ দিন ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা গ্রামের রিকশা চালক আকু মিয়া (৪০)। বুধবার সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখেন এখনো উঠানের ওপরে পানি। বসতঘর থেকেও পানি নামেনি। দুই দিন আগে পানি যা দেখেছেন, আজও তেমন দেখেছেন। পানি যেন কমছেই না। শুধু আকু মিয়া নন, কুমিল্লার বন্যাকবলিত লাকসাম মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলার হাজার হাজার পরিবারের দুশ্চিন্তা এখন একটাই, কবে বন্যার পানি কমবে। কবে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাবেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বন্যাকবলিত ১৪ উপজেলায় এখনো প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬ লাখ ২২ হাজারের বেশি। বন্যার পানি না কমার কারনে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক মানুষ এখনো বাড়ি ফিরতে পারছেন না। লাকসাম উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আবুল মিয়া বাসসকে বলেন, এ জীবনে কখনো এত পানি দেখি নাই। আমার বাপের কাছেও শুনি নাই। ৩৬ থেকে ৩৭ দিন ধরে আবুল মিয়ার এলাকার অনেক বাড়িঘরের বিভিন্ন অংশ পানির নিচে তলিয়ে আছে। চারদিকে তাকালে দেখা যায় মানুষের দুর্ভোগ। তবে যেভাবে পানি কমছে, তাতে এ দুর্ভোগ সহজে শেষ হবে না বলে মনে করেন এই বৃদ্ধ। সার্বিকভাবে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। অনেক স্থান দখল ও ভরাটের কারনে পানি নামার পথ সংকুচিত হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে নদী ও খাল অবৈধভাবে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নামতে সমস্যা হচেছ। জেলার দক্ষিণাঞ্চলের পানি ডাকাতিয়া নদীর মাধ্যমে নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ পাশ^বর্তী জেলা চাঁদপুরে গিয়ে মেঘনা নদীতে মেশে। ধীরগতির কারনে এসব এলাকায় পানি নামতে সময় লাগছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বাসসকে বলেন, সার্বিকভাবে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। অনেক স্থান দখল ও ভরাটের কারনে পানি নামার পথ সংকুচিত হয়ে গেছে। অবাধে নদী ও খাল দখল এবং ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। জেলার দক্ষিণাঞ্চলের পানি ডাকাতিয়া নদীর মাধ্যমে নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ধীরগতির কারনে এসব এলাকায় পানি নামতে সময় লাগছে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাঘের পেটুয়া এলাকার বাসিন্দা অধ্যাপক সাইদুর রহমান বলেন, তাঁদের গ্রামের ভেতরের প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় এখনো বন্যার পানি। গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রথম দিকে পানি কমার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু গত দুই দিন পানি একটুও কমেনি। এ পরিস্থিতিতে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কথা হয় লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে এখনো হাঁটুর ওপরে বন্যার পানি। বসতঘরের ভেতরও হাঁটুর কাছাকাছি পানি। গত দুই দিনে একটুও পানি কমেনি। এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজালা রানী চাকমা বলেন, নদী-খাল দখল ও বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের কারনে পানি নামতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, এটা সত্য কথা। তবে আমরা প্রতিটি খাল ও নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি। এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বাঁধ অপসারণ করে পানির প্রভাব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি নেই, পরিস্থিতি এমন থাকলে দ্রুতই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024