1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 15, 2025, 6:49 am
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা আইনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

করোনা সংক্রমণে প্রদাহ : যা খাবেন, যা খাবেন না

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, জুন ৭, ২০২০,
  • 511 Time View

নতুন করোনাভাইরাসটি প্রাণঘাতী হওয়ার কারণ হচ্ছে, এটি গুরুতর অসুস্থ রোগীদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ তৈরি করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে, শরীর পুরো ভেঙে পড়ে। একসঙ্গে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেল করে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে অতিরিক্ত প্রদাহে ফুসফুস অকার্যকর হতে দেখা গেছে।

তাই করোনাকালে সকলেরই শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত এবং ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ দূর করা উচিত।

প্রদাহ কমাতে ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ হলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েটও সহায়ক হতে পারে। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট হলো সেসব খাবার যা প্রদাহ হ্রাস করতে পারে। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও স্বীকৃত, তাই এসব খাবার খেলে অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকিও কমতে পারে। শুধু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েটের ওপর থাকলে হবে না, প্রদাহ বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। এখানে প্রদাহ কমাতে কি খাবেন কি খাবেন না তা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

যা খাবেন

ফল ও সবজি: বিচিত্র রঙের ফল, সবজি ও শাক খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে পালংশাক, ব্রোকলি ও বাধাকপির মতো ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার প্রদাহ কমাতে পারে। ফলের মধ্যে চেরি, রাসবেরি ও ব্ল্যাকবেরি প্রদাহ রোধে সহায়ক।

গোটা শস্য: ওটমিল, বাদামী চাল, অপরিশোধিত গমের রুটি বা পাউরুটি ও অন্যান্য অপরিশোধিত শস্যের খাবারে প্রচুর ফাইবার থাকে। ফাইবারও প্রদাহ সীমিত রাখতে সহায়তা করে।

শিমের বিচি: শিমের বিচি ও অন্যান্য বিনসেও প্রচুর ফাইবার রয়েছে। এছাড়া এগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অন্যান্য প্রদাহনাশক উপাদানও থাকে।

বাদাম: বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট প্রদাহ থামাতে সাহায্য করে। দিনে একমুঠের বেশি বাদাম খাবেন না, অন্যথায় ক্যালরি ও ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রদাহ কমাতে অলিভ অয়েলও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মাছ: সপ্তাহে অন্তত দু’বার আপনার থালায় মাছ রাখুন। স্যালমন, টুনা ও সার্ডিনের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে পারে।

রসুন: হলুদ ও রসুন শুধু খাবারকে সুস্বাদুই করে না, এগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

যা খাবেন না

মিষ্টি, কেক, বিস্কুট ও কোমল পানীয়: এসব খাবারে তেমন পুষ্টি নেই। এগুলো সহজে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে; যার ফলে ওজন, রক্ত শর্করা ও কোলেস্টেরল অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া কোমল পানীয় ও অন্যান্য মিষ্টি পানীয় হচ্ছে প্রদাহ বৃদ্ধির প্রধান কালপ্রিট। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যথাসম্ভব চিনি এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন, এমনকি মধুও বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না।

উচ্চ চর্বি ও প্রক্রিয়াজাত লাল মাংস: এসব খাবারে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। প্রতিদিন বেশি পরিমাণে চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত লাল মাংস খেলে প্রদাহ অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

মাখন, অপরিশোধিত দুধ ও পনির: এখানেও মূল সমস্যা হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এর পরিবর্তে কম চর্বির দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যাবে।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড চিকেন ও অন্যান্য ভাজা খাবার: ভেজিটেবল অয়েলে এগুলোকে ভাজা হয় বলে এগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার এমনটা নয়। কর্ন, স্যানফ্লাওয়ার ও অন্যান্য ভেজিটেবল অয়েলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। আমাদের শরীরে অল্প মাত্রায় ওমেগা-৬ লাগে, কিন্তু এই ফ্যাট বেশি খেলে শরীরে ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩ এর ভারসাম্য বিনষ্ট হবে। এর ফলে প্রদাহ বেড়ে যাবে।

কফি ক্রিমার, মার্গারিন ও ট্রান্স ফ্যাটের অন্যান্য খাবার: এসব খাবারের ট্রান্স ফ্যাট শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে, যা প্রদাহ সৃষ্টি করে। ট্রান্স ফ্যাটের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই, তাই এই চর্বি থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকুন। যে খাবারের লেবেলে ‘পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল’ লেখা রয়েছে সেখানে ট্রান্স ফ্যাট আছে।

গম ও যব: এসব খাবারে গ্লুটেন রয়েছে। যাদের সেলিয়াক রোগ রয়েছে তাদেরকে গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু রোগটি না থাকলে এসব খাবার খেতে সমস্যা নেই, বরং উপকারই হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024