1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. my.mensingherkagoj@gmail.com : Editor :
  3. mymensingherkagoj@gmail.com : mkagoj :
  4. ne...ee@gmail.com : news :
  5. kaium.press@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  6. saifulmytv@gmail.com : saiful :
  7. staff@gmm.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
August 17, 2025, 9:28 pm
শিরোনাম
ময়মনসিংহ জেলা ইউনিট কমান্ড-এর এডহক কমিটি গঠিত ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস ম্যানেজারের দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক কাজিমউদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের দশ বছরের কারাদ- নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ময়মনসিংহে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’, অধিকতর আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন ময়মনসিংহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

‘করোনা চলে গেলে প্রতিদিনই ঈদ করবো আমরা’

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, মে ২৪, ২০২০,
  • 173 Time View

দুই বছর আগে শাওয়াল মাসের (ঈদের) চাঁদ দেখার কথা স্পষ্ট মনে আছে রাইয়ান তাহমীদের। বাবার হাত ধরে বাড়ির সব ভাই-বোনদের সাথে স্কুল মাঠে গিয়ে চাঁদ দেখেছিল সে। চাঁদ দেখা উপলক্ষে মাঠে জড়ো হওয়া পাড়ার ছেলেদের সাথে কতই না হৈ-হৈল্লোর হয়েছিল সেদিন। অবশ্য গত বছর সেই মজা কারোরই হয়নি। গত বছর শওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে রাত ১২ টার পরে ঘোষণা এসেছিল ঈদুল ফিতরের।

তবে এ বছর ভিন্ন এক পরিবেশে ঈদের চাঁদ দেখেছে তাহমীদ। মাঠে যাওয়া নিষেধ। তাই বাবা আর ভাই-বোনের সাথে বাসার ছাদে গিয়েই চাঁদ দেখতে হলো তাকে। করোনা নামের এক মরণব্যাধির কারণে তাহমীদের ঈদের সব আনন্দই যেন মাটি হতে চলছে। আগেই বাবার ঘোষণা, দেশ করোনা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার বায়না ধরা যাবে না। বাসাতেই থাকতে হবে সবাইকে। তাই এবার ঈদে তাহমীদের ছোট্ট মনেও অব্যক্ত জমানো অনেক দুঃখ আর কষ্ট। ঈদের চাঁদ দেখে ঘরে ফিরে বাবাকে সে আনমনেই প্রশ্ন করে ‘বাবা করোনা কবে যাবে? ঈদের দিনেও কি আমরা বেড়াতে যেতে পারবো না’? তবে বাবার কাছে তার একটিই বায়না ‘করোনা চলে গেলে প্রতিদিনই ঈদ করবে আমরা’।

দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময়ে ধরে ঘরে বন্দী থাকার এই কষ্ট শুধু পাঁচ বছরের বয়সী রাইয়ান তাহমীদের একার নয়, করোনা যেন প্রত্যেকটি নাগরিকেরই দৈনন্দিন রুটিন ও পরিকল্পনাতেই বাঁধ সেধেছে। অনেকের কাজ নেই। ঘরে বসেই দিন কাটছে তাদের। এই অভাব আর অনটনের মধ্যে ঈদের বা আনন্দের কোনো বার্তা তাদের ঘরে পৌঁছেনি।

তাহমীদসহ তার ভাইবোনেরও অনেক পরিকল্পনা ছিল ঈদের দিনে ঈদগাহে গিয়ে অনেক মজা করবে। নানা, নানু,দাদী আর মামাদের ঈদ সম্মানির টাকায় বেহিসেবি খরচের অনেক পরিকল্পনাও ছিল তাদের। কিন্তু এবার সেই পরিকল্পনা আর বুদ্ধিতেও যেন ছেদ পড়েছে। করোনায় যেন সবকিছু উলোটপালট হয়ে গেছে তাদের। বাসায় বসে টিভিতেও আর মনোযোগ নেই তাদের। খেলা আর গল্পগুলো যেন গত দুই মাসে পুরনো আর সেকেলে হয়ে গেছে। তাই ঈদের দিনে মায়ের হাতে নতুন নতুন খাবার আইটেমের প্রতিই শেষ ভরসা তাদের। তারপরেও তাদের কল্পনার ক্যানভাসে এখনো ভাসছে করোনা অচিরেই চলে যাবে। আবারো বাইরে খেলতে যাবে, বেড়াতে যাবে তারা। নতুনভাবে সাজানো হবে প্রতিদিনের রুটিন। তখন হয়তো ঈদের আনন্দ শুধু একদিন নয়, তাহমীদদের মতো লাখো কোটি শিশুর জীবনে প্রতিদিনই আসবে ঈদের আনন্দ। তাহমীদের কল্পনার সেই প্রতিদিনের ঈদের আনন্দের প্রত্যাশায় প্রিয় বাংলাদেশ, গোটা বিশ্ব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024